শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
পরিবার-পরিজন নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

পরিবার-পরিজন নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

পরিবার-পরিজন নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
পরিবার-পরিজন নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক:দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দেশি শ্রমিকরা দুই দফা দাবিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

পর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন’র ব্যানারে খনি গেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

তাদের দুই দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের কারণে বাড়িতে অবস্থানকারী শ্রমিকদের স্ব-স্ব কর্মে যোগদান করানো এবং করোনাকালীন সময়ের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান। আন্দোলনকারী শ্রমিকরা সকলেই কয়লাখনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে কর্মরত ছিলেন।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম, শ্রমিক নেতা এহসানুল হক সোহাগ, এরশাদ আলী, আবু তাহের প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, খনির সূচনালগ্ন থেকেই আন্দোলনকারী শ্রমিকরা ভূগর্ভের নিচে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কয়লা উত্তোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে পার্শ্ববর্তী কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সচল রেখেছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময় শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে লকডাউন উঠে গেলেও বাড়িতে অবস্থানকারী শ্রমিকদের তাদের কর্মে ফেরানো হয়নি। একইভাবে তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়নি।

তারা আরও বলেন, এসব নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার আলোচনা করেও কোনো সুরাহা পায়নি শ্রমিকরা। ফলে বেকার শ্রমিকরা দীর্ঘ সময় ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ কারণে আজ পরিবার পরিজন নিয়ে খনি গেটে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এদিকে কয়লাখনির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকাল থেকেই খনি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

মতিহার বার্তা / এম আর টি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply